কনটেন্ট স্ট্রাকচার খুবই গরুত্বপূর্ন বিষয। কিওয়ার্ড রিসার্চ শেষ করলেন অথচ কিভাবে কি লিখতে হবে সে বিষয়ে যদি ধারনা না থাকে তাহলে যে কোন বিষয়ে লেখাটা বেশ জটিল হয়ে যাবে। লেখার আগে যদি তার একটা স্ট্রাকচার দাড় করিয়ে নেয়া যায় তাহলে লিখতে যেমন সহজ হবে তেমননি লেখার মানও বেশ ভালো হবে বলে বিশ্বাস করি। আজ আপনাদের কিছুটা ধারনা দেয়ার চেষ্টা করবো কিভাবে আপনি আপনার কনটেন্ট সাজাতে পারেন।
কিভাবে কনটেন্ট স্ট্রাকচার দাড় করাবেন
➤ আর্টিকেল লেখার আগে অবশ্যই কম্পিটেটরদের আর্টিকেল ভালো করে পড়তে হবে। এতে আপনার নিশ সম্পর্কে অভিজ্ঞতা বাড়বে। প্লানও খুজে পাবেন।
➤ কম্পিটেটররা কি কি বিষয় কভার করেছে আর কি কি বিষয় কভার করেনি তার একটা লিস্ট তৈরী করুন।
➤ কম্পিটেটরদের মিসিং অনপেজ ইস্যুগুলো লিস্ট করুন। যেমন তারা টাইটেল, ইউআরএল, ইনট্রোডাকশন, এইচট্যাগ, ইমেজ, কিওয়ার্ডপ্লেসমেন্ট এসব ঠিকঠাক আছে কিনা দেখে নিন।
➤ আপনার কিওয়ার্ড গুগলে সার্চ করে দেখেন গুগল কি কি সাজেস্ট করে। সাজেশন থেকে খুজে বের করুন আপনার কিওয়ার্ডের সাথে কোন কোন টপিকগুলা মানানসই হয়। প্রয়োজনে চোখ বন্ধ করে ভাবুন নতুন কোন বিষয় মাথায় এলো কিনা। আপনার মূল কিওয়ার্ডের সাথে সম্পর্ক আছে এমন বিষয় কভার করলে অটোমেটিক LSI কভার করে যাবে।
➤ এবার নিজের মত করে মনে মনে অথবা কাগজে একটা প্লান করেফেলুন কোন টপিকে কতো ওয়ার্ড লিখবেন।
➤ গুগল সাজেশন, গুগল সিমিলার, কম্পিটেটরদের পয়েন্টগুলো, মিসিং বিষয় এবং অনপেজ ইস্যুগুলো মাথায় রেখে দেখানো ট্রিক্স অনুসারে লিখতে শুরু করুন অথবা কাউকে লিখতে দিন।
➤ অপ্রসঙ্গিক বিষয় কভার না করে কেবল প্রাসঙ্গীক বিষয় কভার করার চেস্টা করুন। এভারেজ ২০০০ ওয়ার্ড আর্টিকেল লেখার ট্রাই করুন।
➤ লেখার সময় নিজেকে পাঠক ভাবুন। আর্টিকেলে নতুন কিছু কভার করার ট্রাই করুন। লেখা শেষ হলে আবার পড়ে বোঝার ট্রাই করুন আপনার আর্টিকেল আপনার কিওয়ার্ডকে ফোকাস করছে কিনা।
➤ কোয়ান্টিটির থেকে কোয়ালিটির দিকে মনযোগ দিন। কপি পেস্ট, স্পিন থেকে ১০০ গজ দূরে থাকুন।
➤ টাইটেল, ইউআরএল, ইন্টোডাকশন, এইচ 2 ট্যাগ, ইমেজ ট্যাগ, কনক্লিউশনে ন্যাচারাল উপায়ে মূল কিওয়ার্ড রাখার চেষ্টা করুন। একাধিকবার ইউজ করার দরকার হলে সিমিলার বা সিনোনেম কিওয়ার্ড ইউজ করুন। তবে জোড় করে কিওয়ার্ড প্লেস করা যাবে না।
মানি বা পিলার আর্টিকেল কেমন হবে?
আর্টিকেল লেখার আগে অবশ্যই কম্পিটেটরদের আর্টিকেল চেক করে বুঝে নিতে হবে তারা কিভাবে কি সাজিয়েছে। তাদের থেকে ধারনা নিয়ে আর নিজের বুদ্ধিকে কাজে লাগিয়ে আপনাকে একটু ভিন্নভাবে আর্টিকেল সাজাতে হবে।
সাধারনত যে বিষয় গুলো কভার করতে হয়
➤ একটা নজরকাড়া ইনট্রোডাকশন। যেটা হতে পারে সর্বচ্চ ১০০ ওয়ার্ডের ভিতর। বড় ইনট্রো দেখলে অনেকেই বিরক্ত হয়। তাই যতটা সম্ভব ছোট রাখা যায়। ইন্ট্রোডাকশনের প্রথম লাইনে ন্যাচারালি মূল কিওয়ার্ড রাখার চেষ্টা করুন।
➤ প্রথম এইচ ২ ট্যাগ (মূল কিওয়ার্ড থাকতে হবে) ও কি কি বিষয় কভার করতে যাচ্ছেন সে বিষয়ে একটা লিষ্ট করে দিতে পারেন।
➤ প্রডাক্ট টাইটেল দিন, তবে খেয়াল রাখুন সেই টাইটেলের যেন একটা সার্চ ভলিউম থাকে। যদি প্রতিটা প্রডাক্ত টাইলের সার্চ ভলিউম রাখতে পারেন তাহলে আদালা প্রডাক্ত কিওয়ার্ডে রেংক করার চাঞ্চ থাকবে। এবার প্রাডাক্ত ডিসক্রিপশন দিন। নিজের মনের মাধুরী মিলিয়ে সাজিয়ে ফেলুন। এভাবে ৫-১০টি প্রাডাক্টের রিভিউ লিখুন।
➤ এবার বাইং গাইড দিন, যেমন একটা প্রডাক্ট কিনতে হলে কোন কোন বিষয়ে নজর দিতে হয়। কিভাবে ভালো প্রডাক্ট নির্বাচন করবে সে বিষয়ে ধারনা দিন।
➤ চাইলে FAQ সেকশন কভার করতে পারেন। গুগল থেকে রিলেটেড প্রশ্নগুলো (People Alos Ask) এই সেকশনটা করতে পারেন।
➤ সবশেষে একটা ভালো কনক্লিউশন দিন। কনক্লিউশন মানে হলে, এতোক্ষন যা লিখলেন তার একটা সারাংশ। এই সেকশনে আপনার মূল কিওয়ার্ড রাখার চেষ্টা করুন।
ইনফো আর্টিকেল লেখার নিয়মও একই রকম। কম্পিটেটরদের দেখুন, নিজের বুদ্ধি দিয়ে কিভাবে লিখবেন তার ছক কর ফেলুন। এবার লিখতে বসুন। লেখার সময় অনপেজের ইস্যু গুলো মাথায় রাখুন। তো আজকের মতে কনটেন্ট স্ট্রাকচার নিয়ে এই পর্যন্তই। আবারো দেখা হবে নতুন কোন বিষয় নিয়ে। শুভ কামনা সবার জন্য। আল্লাহ হফেজ।
ধন্যবাদ। চমৎকার নির্দেশনা। পরবর্তী আর্টিকেলের অপেক্ষায়…
jobayeracademy প্রতিনিয়ত এত সুন্দর দিক নির্দেশনা দিয়ে যাবে এমন কামনাই রইল।